সংবাদ শিরোনামঃ
রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কি ঘটতে যাচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যেসব কাজ করতে পারবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
”উপকূলের কান্না তোমরা কি শুনতে পাও না

”উপকূলের কান্না তোমরা কি শুনতে পাও না

রবিউল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী( শ‍্যামনগর) প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর আলাউদ্দিন মার্কেটে শনিবার (১২নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে উপকূলীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে পিকেএসএফ ও এনজিএফ এর মদদপুষ্ট পরিবেশ উন্নয়ন ক্লাব, সিডিও, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম ও গবেষনা প্রতিষ্টান বারসিকের সহযোগিতায়  র‌্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিশরের আল শেখে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন (cop27) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এবারের জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আগ্রহ বিরাজ করছে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মধ্যে।
অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আকবর কবির, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান সাঈদ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে  উপকূলীয় এলাকায় ঝুকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় মানুষের বসবাস করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে। এই এলাকার মানুষ তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী ধনী রাষ্টগুলো জানতে চাই আমাদের নিয়ে খেলা করলে আর হবে না। আমাদের অধিকার আমাদের দাবী মানতে হবে। আমাদের ক্ষতিপুরন দিতে হবে। কার্বন নি:সরন কমাতে হবে। আমাদের সকল প্রানের নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে উপকূলের সুপেয় পানির আধার তৈরী ও সংরক্ষন।
বক্তারা আরো বলেন, কার্বন নি:সরনকারী ধনী দেশগ্রলোকে জানাতে চাই আপনারা আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন আমাদের বাঁচতে দিন। সেই সাথে উপকূলের মানুষের অধিকার ও নায্যতার দাবী তুলে ধরতে উপকূল দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে দাবী জানাই উপকূল দিবস কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
এর আগে উপকূল দিবস উপলক্ষে একটি সুবিশাল র‌্যালি নীলডুমুর বাজার ঘুরে এসে বনবিভাগ অফিসের পাশে নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেন। আলোচনা সভা শেষে উপকূল বিষয়ে সচেতনতা তৈরীতে জারী গান অনুষ্ঠিত হয়।
উপকূল দিবসে স্থানীয় জনগোষ্টির দাবীসমূহ:
১. ১২নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষনা করতে হবে
২. টেকসই ভেড়ীবাধ তৈরী করতে হবে সেই সাথে বাঁধ তৈরীতে স্থানীয়দের মতামত নিতে হবে
৩. জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর নিকট থেকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ আদায় ও কম কার্বন নির্ভর জীবনযাপনে বাধ্য করা
৪. নদী ভাঙন রোধে নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে
৫. উপকূলের উন্নয়নে আলাদা বোর্ড গঠন করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

One response to “”উপকূলের কান্না তোমরা কি শুনতে পাও না”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড